মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরিতে নজর বড় পোশাক রপ্তানিকারকদের

ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রকাশিত : ৮ অক্টোবর, ২০২২ ০৮:২১

বীর সাহাবী

বিশ্বের বড় বড় ব্র্যান্ডের জন্য পোশাক তৈরির পাশাপাশি এখন নিজস্ব ফ্যাশন ব্র্যান্ড তৈরিতে নজর দিচ্ছেন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা। প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার দেশীয় পোশাকের বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ডের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পর বিশ্ববাজারেও নিজেদের ব্র্যান্ড নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম, ওয়ালমার্ট, জারা, নেক্সট, প্রাইমার্ক, কেলভিন ক্লেইন, নাইকি, অ্যাডিডাস, সিঅ্যান্ডএর মতো বিশ্বখ্যাত অনেক ব্র্যান্ডের পোশাক সুনামের সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে প্রস্তুত করছে বাংলাদেশি কারখানাগুলো। এসব পরিচিত ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বিশ্বের অনেক দেশের বাজারে নানা নামে যাচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি করা পোশাক। কিন্তু বাংলাদেশের নিজস্ব কোনো ব্র্যান্ডের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বিশ্ববাজার এবং দেশের মানুষের পোশাকের চাহিদা মেটাতে এখন উদ্যোক্তারা দাঁড় করাচ্ছেন নিজস্ব ফ্যাশন ব্র্যান্ড।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এসব বড় উৎপাদকরা নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরির যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে দেশীয় ফ্যাশন বাজারে বৈচিত্র্য আসবে। একই সঙ্গে বিশ্ববাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ডের উপস্থিতি নিশ্চিত হবে। তাদের ধারণা, সামনের দিনগুলোতে এই উদ্যোগে বড় রপ্তানিকারকদের যুক্ত হওয়া আরও বাড়বে।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমি খুব খুশি যে, রপ্তানিকারকরা তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দেশীয় ব্র্যান্ডেও কাজে লাগাচ্ছেন। এসব দেশীয় ব্র্যান্ড দেশের মানুষকে সাশ্রয়ী দামে আন্তর্জাতিক মানের পোশাক পরার সুযোগ করে দিয়েছে।’

মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিজিএমই আরও বেশি খুশি হবে যদি এই ব্র্যান্ডগুলো স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব নামে বিদেশেও রপ্তানি করতে পারে। বিদেশে চেইন শপ করে রপ্তানি করাটাই হবে আলটিমেট টার্গেট। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আরও বাড়বে। তাই আমরা এই বাজারকে আরও প্রমোট করতে চাই।’

বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসানের মালিকানাধীন জায়ান্ট গ্রুপ। রপ্তানি আদেশের বিপরীতে পোশাক সরবরাহের পর রয়ে যাওয়া পোশাক বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালে টেক্সমার্ট ব্র্যান্ড তৈরি করে গ্রুপটি। কয়েক বছর পর দেশীয় বাজারের চাহিদা মেটাতে আলাদা করে ডিজাইনার নিয়োগ দিয়ে ব্র্যান্ডকে ক্রেতাদের আরও কাছাকাছি নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়।

এ ছাড়া শুধু তরুণদের লক্ষ্য করে ডেনিমনির্ভর আরেকটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড অকাল্ট চালু করে ২০০৭ সালে। দেশে এই ব্র্যান্ডের বিক্রয়কেন্দ্র সংখ্যা এখন ৫।

টেক্সটমার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুশফিক হাসান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমরা যখন বাইরে পোশাক রপ্তানি করি তখন আমাদের বায়ার (ক্রেতা) খুঁজতে হয়। তারা তাদের মতো প্রাইসিং করে পণ্য কেনে। আর লোকাল মার্কেটে ক্রেতারাই আমাদের খোঁজেন। এখানে আমরা আমাদের মতো প্রাইসিং করে পোশাক বিক্রি করতে পারছি। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের রুচি ও দামের সঙ্গে মিলেই বেচাকেনা হচ্ছে।’

দেশের আরেক বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের দেশীয় ব্র্যান্ড ইয়োলো র যাত্রা শুরু ২০০৪ সালে। সারা দেশে ১৯টি আউটলেটের পাশাপাশি পাকিস্তানেও ৪টি আউটলেট আছে।

আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারকে গুরুত্ব দেয়া ও এখানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার কথা জানিয়ে ইয়োলোর হেড অব রিটেইল অপারেশন হাদি এস এ চৌধুরী দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমরা বিদেশে পোশাক রপ্তানি করলেও আধুনিকতার সঙ্গে দেশের মানুষের যে চাহিদা তৈরি হয়েছে, সেটা পূরণ করতেই স্থানীয় বাজারকে গুরুত্ব দিয়েছি। এখন নানা ব্র্যান্ড দেশীয় বাজারকে গুরুত্ব দেয়ায় সামান্য চ্যালেঞ্জ হলেও আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা আরও চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’

বছরে ৪৮০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানিকারক ইপিলিয়ন গ্রুপ ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করে ফ্যাশন ব্র্যান্ড সেইলর। দেশের বাজারে জনপ্রিয়তা পাওয়া ব্র্যান্ডটি স্থানীয় নিজস্ব ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরির জন্য রাজধানীর মহাখালীতে আলাদা কারখানা করেছে। বর্তমানে ১৮টি বিক্রয়কেন্দ্র আছে সেইলরের।

ইপিলিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আপাতত নিজস্ব ব্র্যান্ডের নামে বিদেশে রপ্তানি করার চিন্তাভাবনা নেই। আগে দেশের বাজার ভালো মতো ধরে অদূর ভবিষ্যতে নিজস্ব ব্র্যান্ডের নামে রপ্তানি করার চিন্তা আছে।’ তিনি বলেন, ‘আগে দেশের ৬৪ জেলাতেই সেইলরের আউটলেট করতে চাই। পরে অন্য চিন্তা।’

ইভিন্স গ্রুপের ব্র্যান্ড নোয়ার যাত্রা শুরু ২০১৪ সালে। গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরীর স্ত্রী শবনম শেহনাজ চৌধুরী দুই ছেলেকে নিয়ে দেশের বাজারের জন্য নোয়া প্রতিষ্ঠা করেন।

আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের স্থানীয় বাজার দিন দিন বড় হচ্ছে। লোকাল মার্কেটকে মাথায় রেখে আমরা আমাদের ব্র্যান্ড এনেছি।’

নিজেদের ব্র্যান্ডকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের ব্র্যান্ডকে আন্তর্জাতিক করার চিন্তাভাবনা নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

বছরে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানিকারক টিম গ্রুপ ২০১২ সালে নিজস্ব ফ্যাশন ব্র্যান্ড হিসেবে চালু করে টুয়েলভ। বর্তমানে টুয়েলভের ৩০টি আউটলেট আছে।

টুয়েলভ ব্র্যান্ডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মতিউর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘লাইফ স্টাইল ব্যবসার বিশাল সম্ভাবনা দেখেই আমরা বিদেশে রপ্তানির পাশাপাশি দেশের বাজারে নজর দিয়েছি।’

আন্তর্জাতিক বাজারেও নিজস্ব ব্র্যান্ডের পোশাক রপ্তানির পরিকল্পনা আছে জানিয়ে মতিউর বলেন, ‘আমরা কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং এশিয়ার বাজারে আমাদের ব্র্যান্ড এবং স্টোর চালু করার পরিকল্পনা করছি।’

দেশের আরেকটি বড় রপ্তানিকারক স্নোটেক্স গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সারা লাইফ স্টাইলের ব্যানারে সারা ফ্যাশন ব্র্যান্ড যাত্রা শুরু করে ২০১৮ সালে। বছরে ৩০০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানিকারক এই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড সারা ইতিমধ্যে বিশাল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

স্নোটেক্স গ্রপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ জানান, এখন সারার আউটলেট ৮টি থাকলেও এ মাসেই আরও ২টি নতুন আউটলেট হচ্ছে। আগামী বছর এ সংখ্যা হবে ১৫ থেকে ১৭। ধীরে ধীরে ৬৪ জেলাতেই সারার আউটলেট খোলা হবে। দৈনিক বাংলাকে তিনি বলেন, আগে সারা দেশের মানুষকে মানসম্মত পোশাক সরবরাহ করার পর এই ব্র্যান্ড নামেই দেশের বাইরে রপ্তানি করার চিন্তা আছে।

এসব ব্র্যান্ডের পাশাপাশি গত কয়েক বছরে আরও বেশ কিছু বড় রপ্তানিকারক নিজস্ব ব্র্যান্ড নিয়ে বাজারে এসেছে। এদের মধ্যে ব্যাবিলন গ্রুপের ট্রেন্ডজ, আম্বার গ্রুপের আম্বার লাইফ স্টাইল, এনার্জিপ্যাকের ওকোড ফ্যাশন, ইসলাম গ্রুপের র’ ন্যাশন, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের রাইজ, পারটেক্স গ্রুপের রেড অরিজিন, এস এম গ্রুপের স্মার্ট টেক্স, ইস্ট ওয়েস্ট গ্রুপের ফিট এলিগ্যান্স, মণ্ডল গ্রুপের এমরেলা উল্লেখযোগ্য।

রপ্তানিকারকদের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক মনে করেন অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মানতাশা আহমেদ। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, কিছু বড় রপ্তানিকারক দেশের মার্কেটের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে মার্কেট ধরে ফেলেছে। এসব ব্র্যান্ডের আউটলেটে সব সময়ই ক্রেতাসমাগম থাকে।’

ফ্যাশন এন্ট্রাপ্রেনিউরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ফ্যাশন ব্র্যান্ড অঞ্জনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহিন আহমেদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বাজারে দুই ধরনের প্রোডাক্ট আছে। একটা মিল প্রোডাক্ট আরেকটা ডিজাইন প্রোডাক্ট। যারা ব্র্যান্ড হিসেবে ব্যবসা করছেন তারা নির্দিষ্ট একটা শ্রেণির জন্য। এসব ব্র্যান্ডের সাইজের চেয়ে মার্কেটের চাহিদা অনেক বেশি। তাই দেশের লোকাল মার্কেট যত বড় হবে তত ইতিবাচক। আমদানিনির্ভরতা কমাতে হলে লোকাল মার্কেটের প্রসারের বিকল্প নেই।’

নতুন যারা আসছেন তাদের স্বাগত জানিয়ে এ উদ্যোক্তা বলেন, ‘নতুন নতুন ব্র্যান্ড আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও দেশের জন্য ইতিবাচক। কারণ, তখন আমদানিনির্ভরতা কমবে আর দেশীয় পোশাকের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়বে। দিন দিন দেশে পোশাকের চাহিদা অনেক বাড়ছে। সব মিলিয়ে দেশের ৫০ হাজার কোটি টাকার পোশাক বাজারে এখনো অনেক সুযোগ রয়ে গেছে।’

দেশীয় ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা

একসময়ের ঘরোয়া বা শৌখিন বুটিক হাউসগুলো বাজারের বিকাশের মধ্য দিয়ে এখন রূপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডে। বৈচিত্র্যময় ডিজাইন, নান্দনিকতা আর দেশীয় ভাবধারার এই পোশাকের দিকে সব বয়সী মানুষই ঝুঁকছেন। তাই চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় পোশাকের বাজার প্রতিনিয়তই বড় হচ্ছে।

স্বাধীনতা পরবর্তী ১০ বছরে দেশীয় পোশাকের নতুন ধারণা নিয়ে প্রথমে রূপায়ণ ও নিপুণ এবং পরে আড়ং যাত্রা শুরু করে। এই দশকে কারিকা, কুমুদিনী, সেতুলী, জয়া, শুকসারি, টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরসহ আরও বেশ কয়েকটি বুটিক হাউস কারু ও পোশাকশিল্পকে দেশজ ভাবনার আলোকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। তাদের প্রচেষ্টা সফল হয়। দেশজ পোশাকের ভাবনার বিকাশ ঘটে আশির দশকে। যুক্ত হয় আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।

কিছু উদ্যমী এবং স্বাপ্নিক তরুণ উদ্যোক্তার এসব প্রতিষ্ঠান দেশীয় ফ্যাশনে বিপ্লব ঘটায় । দেশীয় কাপড়, দেশীয় বুননে রং ও নকশার বৈচিত্র্যে এসব পোশাক উৎসব-পার্বণে ক্রমেই হয়ে ওঠে সবার পছন্দের। দেশীয় কাপড় দিয়ে ফ্যাশনেবল পোশাক বানানোর যে প্রবণতা তারা চালু করেছিলেন সেটা আজ নগর জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটা অংশ। পাশ্চাত্য ফ্যাশনে অনুরক্তদের একটি বড় অংশই এখন দেশীয় কাপড়ে তৈরি পোশাক পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

ওইসব তরুণেরা ফ্যাশনের লক্ষণীয় পরিবর্তনের প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য নিরন্তর কাজ করে দেশীয় ফ্যাশনের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ তৈরি করেন। এতে করেই ফ্যাশন জগতে একটা শৈল্পিক বিপ্লবের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বর্তমানে প্রায় দুই শতাধিক ব্র্যান্ডের ফ্যাশন হাউস নিজস্বতা তথা শিল্পের স্বাক্ষর রেখে ফ্যাশনের উজ্জ্বল দিগন্তকে আরও দ্যুতিময় করে তুলতে চালিয়ে যাচ্ছে নানা সুচারু কর্ম।

আড়ং, অঞ্জন’স, নিপুণ, কে-ক্র্যাফট, বিশ্বরঙ, রঙ, নগরদোলা, দেশালসহ অনেক বুটিকই নামী ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। যুক্ত হয়েছে বাংলার মেলা, অন্যরং, ওজি, প্রবর্তনা, বিবিআনার মতো প্রতিষ্ঠান। একসময়ের ঘরোয়া বা শৌখিন আঙ্গিকে গড়ে ওঠা ছোট বুটিকের অনেক দোকানই বাজার বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে রূপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডে।

গত দুই দশকে দেশের মানুষের পোশাক কেনার অভ্যাসেও বিরাট পরিবর্তন এসেছে। আগে শুধু মাত্র ঈদ-পূজায় কেনাকাটা হলেও এখন সব ধরনের উৎসবে পোশাক কেনার হিড়িক পড়ে যায়। বলা যায়, ফ্যাশন হাউসগুলো আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলেই ক্রেতারা সানন্দে দেশীয় কাপড়ে তৈরি পোশাক কিনতে ক্রমে আরও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রুচিশীলতা।

ফ্যাশন এন্ট্রাপ্রেনিউরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ও অঞ্জনসের প্রধান নির্বাহী শাহীন আহমেদ মনে করেন গত কয়েক দশকে মানুষের মধ্যে সচেতনতা এসেছে। ‘বিদেশি পোশাক মানে ভালো’- এ ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছেন ক্রেতারা।

খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিশ্বরঙের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব সাহা মনে করেন, দেশীয় বুটিক হাউসগুলো এখন একটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেলেও একে এগিয়ে নিতে সরকারের নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন। এ খাতে ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক উদ্যোগ নিলে ব্র্যান্ডগুলো আরও আলো ছড়াবে। আরও নতুন ব্র্যান্ড গড়ে উঠবে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দেশীয় পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন আর শৌখিন ক্ষুদ্র দোকান বা বুটিক হাউসে সীমিত নেই। ছোট থেকে যাত্রা শুরু করে অনেক উদ্যোগই এখন একেকটি প্রতিষ্ঠান। তাদের পুরো কর্মকাণ্ডই এখন একটি বিকাশমান শিল্প।


দেশে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারণে সিডিনেটকে ইউএসটিডিএর সমীক্ষা অনুদান

সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউএস ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ইউএসটিডিএ) বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সাবমেরিন ক্যাবল (বাঘা-১)-এর উন্নয়নের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারণের জন্য আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি সিডিনেট কমিউনিকেশনস লিমিটেডকে (সিডিনেট) একটি সমীক্ষা অনুদান অনুমোদন করেছে।

সাব-সি ক্যাবল শহর ও গ্রামীণ উভয় ক্ষেত্রেই সক্ষমতা বাড়াবে এবং ইন্টারনেট সেবার মান উন্নত করবে। সিডিনেট ফ্লোরিডাভিত্তিক এপি টেলিকম এলএলসি-কে সমীক্ষা পরিচালনা করার জন্য নির্বাচিত করেছে।

ইউএসটিডিএ এবং সিডিনেট ষষ্ঠ ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পাদন করে। সেখানে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ রোমুয়াল্ডেজ মার্কোস জুনিয়র মূল বক্তব্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে ইউএসটিডিএর পরিচালক এনোহ টি. ইবং বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলজুড়ে আমরা সিডিনেটের মতো অংশীদারদের সঙ্গে সাব-সি ক্যাবল প্রকল্পগুলোর একটি পোর্টফোলিও তৈরি করছি যারা সাব-সি ফাইবার অপটিক ক্যাবল সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের দেশেগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড ক্ষমতা সম্প্রসারিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এজেন্সি একটি অংশীদারত্বভিত্তিক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করে, যা প্রকল্পের বিকাশকারী, মার্কিন বেসরকারি খাত, মার্কিন সরকারি সংস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সমমনা ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের সম্পদ এবং ক্ষমতাকে কাজে লাগায়, এসব প্রকল্পের সাফল্যের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বাঘা-১।’

সাব-সি ক্যাবলগুলো বিশ্বব্যাপী যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা বাস্তবায়িত হলে বাঘা-১ ক্যাবলটি বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যান্ডউইথ বৃদ্ধি করবে, যা নিরাপদ উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রসারিত করতে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল অবকাঠামোর স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করবে। ইউএসটিডিএর গবেষণা বাংলাদেশে একটি বিশ্বস্ত সাব-সি ক্যাবল সিস্টেম স্থাপনের জন্য সবচেয়ে কৌশলগত পথ চিহ্নিত করার বিকল্পগুলো মূল্যায়নে সিডিনেটকে সহায়তা করবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে সিডিনেটের পরিচালক এবং বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘বাঘা-১ বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত সংযোগকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে এবং ফাইভ-জি পরিষেবা, আন্তর্জাতিক ডাটা সেন্টার এবং আন্তর্জাতিক হাইপারস্কেলারের জন্য উদীয়মান ডিজিটাল পরিষেবাগুলোর জন্য ব্যাপক সুযোগ উন্মুক্ত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য আরও কানেকটেড এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলার এই অগ্রযাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘ইউএসটিডিএর সমীক্ষা বাংলাদেশের জনগণের জন্য উন্নত ইন্টারনেট ব্যবহার আরও সহজ ও সুবিধাজনক হবে।’ তিনি দ্রুতগতির ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও কানেক্টেড করার ক্ষেত্রে মার্কিন বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে একটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের অংশীদারত্ব স্থাপন করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ইউএসটিডিএ বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের অগ্রাধিকারের লক্ষ্যগুলো যেমন এগিয়ে নেয়, তেমনি বৈশ্বিক অবকাঠামো, বিনিয়োগের জন্য অংশীদারত্ব, ডিজিটাল সংযোগ এবং সাইবার নিরাপত্তা অংশীদারত্ব এবং সমৃদ্ধ প্রকল্প প্রস্তুতি সুবিধার জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামোকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা পালন করে থাকে।


কোরবানির ঈদের আগে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে না: মন্ত্রী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ব বাজারে ডলারের দাম বাড়লেও কোরবানির ঈদের আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কোনো সমন্বয় করবো না। আশা করছি উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক যারা আছেন, ঈদ পর্যন্ত নতুন করে কোনো মূল্য বেঁধে দেবে না। আগের দামেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন।’

ডলারের দাম বাড়ায় আমদানিনির্ভর পণ্যের দামও বাড়বে, এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, ডলারের সমন্বয়টা হলো ১০ টাকা থেকে ১৭ টাকা। এতে ভোক্তা পর্যায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। ডলারের দাম বাড়লেও ভোক্তাদের সুবিধার্থে পণ্যের দাম একই পর্যায়ে রাখবো।’

ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ আমদানিকারকরা তখনই অভিযোগ করছিলেন যে ব্যাংক থেকে তারা সরকারি নির্দিষ্ট রেটে ডলার পাচ্ছিলেন না, তারা তখনই ১২০ টাকা, ১২২ টাকা, একেকজন একেকভাবে প্রাইভেটলি সেটলড (নিষ্পত্তি) করছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘এখন সরকার সমন্বয় করার কারণে সরকারি রেটেই তারা আমদানি করতে পারবেন। কাজেই আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের দামে কোনো সমন্বয় করবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, ঈদের আগ পর্যন্ত নতুন কোনো দাম নির্ধারণ করা হবে না। পুরোনো দামেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটা আন্তর্জাতিক পণ্য। কোথায় যুদ্ধ হবে, অর্থনীতির কোথায় কী হবে, সেটা নিয়ে আগাম ধারণা করা যাবে না। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তাহলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তা করবো।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘রমজানের আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল, বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্য কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সংকট না হয়।’

তিনি বলেন, ‘রমজানের পর বাজার স্থিতিশীল ছিল। সামনে আবার কোরবানির ঈদ। ঈদ এলে আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, যারা সুযোগসন্ধানী, সরবরাহ ঠিক থাকার পরও জিনিসপত্রের দাম দু-এক জায়গায় বেড়ে যায়। সেই লক্ষ্যে গত রোজার ঈদের সময় যেভাবে মনিটরিং করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও সেটা করতে বলেছেন। ঈদে যাতে ভোক্তারা কোনো অসুবিধায় না পড়েন, ন্যায্যমূল্যে জিনিসপত্র পান, সেজন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হয়েছে, কাজে গতি পাবে।’

তিনি আরও বলেন, মনিটরিং আবার সচল করবো, যেন ঈদ সামনে রেখে বাজার থেকে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারেন। এটা নিয়মিত মনিটরিং। একটা স্বাভাবিক গতিতে কার্যক্রম চলে, আরেকটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রমজানে, ঈদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আমাদের কার্যক্রম জোরদার হবে, দৃশ্যমান হবে।


আমরা ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চাহিদা ও যোগান অনুসারে যাতে পণ্যের মূল্য নির্ধারিত হয়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলিনি। এটা মুক্তবাজার অর্থনীতি।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না। আমরা তো বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি না। বাজার যাতে সঠিকভাবে কার্যকর থাকে, চাহিদা ও যোগান অনুসারে যাতে মূল্যটা নির্ধারিত হয় এবং আমদানিকৃত পণ্যের দাম যাতে নির্দেশক মূল্যের কাছাকাছি থাকে, এটাই আমাদের চেষ্টা। আমরা তো ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলিনি। এটা মুক্তবাজার অর্থনীতি।’

বাজার মনিটরিং বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রমজানের আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল—বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্যের কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট না হয়। সেদিকে আমাদের লক্ষ্য ছিল।’


১৭ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৩৬ কোটি ডলার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। রোজার ঈদের পরও রেমিট্যান্স বাড়ছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ায় রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া লেগেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার রেমিট্যান্সের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি মে মাসের ১৭ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ২৮ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৮ কোটি ডলার বা ৯৩৬ কোটি টাকা।

মাসের বাকি ১৪ দিনে (১৮ থেকে ৩১ মে) এই হারে এলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের অঙ্ক প্রায় ২৫০ কোটি (আড়াই বিলিয়ন) ডলারে গিয়ে পৌঁছবে, যা হবে একক মাসের হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে ২০২১ সালের জুলাইয়ে এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ (২.৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

ঈদের মাস এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার (২.০৪ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার।

বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ। আর এ সূচকের অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে রেমিট্যান্স। গত কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্সপ্রবাহে বেশ ভালো গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

অনেকের ধারণা ছিল, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের পর রেমিট্যান্স কম আসবে; কিন্তু তেমনটি না হয়ে উল্টো আরও বেশি আসছে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের বিনিময় হারের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করেছে। এ পদ্ধতিতে এখন থেকে দেশের মধ্যে ডলারের দর লাফ দিতে পারবে না, কেবল হামাগুড়ি দিতে পারবে। আর সেই হামাগুড়ি দিতে হবে নির্দিষ্ট একটি সীমার মধ্যে। সীমার বাইরে যাওয়া যাবে না। আপাতত সেই সীমা হচ্ছে ১১৭ টাকা। এতে এক লাফে ডলারের দর বেড়েছে ৭ টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো এখন ১১৭ টাকা দরে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারবে। এর সঙ্গে যোগ হবে সরকারের দেওয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনা।

‘ক্রলিং পেগ’ চালুর ফলে ডলারের দাম বাড়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রেমিট্যান্স বাড়ার আশাও রয়েছে। গত ১১ এপ্রিল দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। ওই ঈদকে সামনে রেখে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়বে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

গত মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ (১.৯৯ বিলিয়ন) পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। আগের দুই মাসে (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। জানুয়ারিতে এসেছিল ২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল আরও বেশি, ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।

গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা প্রায় ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। আগের দুই মাস অক্টোবর ও নভেম্বরেও বেশ ভালো রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। অক্টোবরে এসেছিল ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ (১.৯৮ বিলিয়ন) ডলার। নভেম্বরে আসে ১৯৩ কোটি (১.৯৩ বিলিয়ন) ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ১৯ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের এই ১০ মাসে ১৭ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল তার আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) চেয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। প্রতিবারই দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়ে; ঈদের পর কম আসে; কিন্তু এবার রোজার ঈদের আগে প্রবাসী আয় বাড়েনি। ঈদের পর অবশ্য বেশি আসছে।


আজ রাজধানীতে ১১তম এসএমই মেলা শুরু 

ফাইল ছবিটি সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ০০:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য মেলা শুরু হচ্ছে আজ। চলবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯ মে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ‘হল অব ফেম’ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ী সাতজন মাইক্রো, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেবেন।

মেলা উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, এবারের মেলায় অংশ নেবে সাড়ে তিন শর বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এ ছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবসহ আরও প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করবে।

শিল্পমন্ত্রী আরও জানান, মেলায় অংশ নিচ্ছে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৫টি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া পাটজাত পণ্যের ৪২টি, হস্ত ও কারু শিল্পের ৩৮টি, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩২টি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৭টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ২৩টি, খাদ্যপণ্যের ১৪টি, তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের ১৩টি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য ১২টি, হারবাল/ভেষজ শিল্পের পাঁচটি, জুয়েলারি শিল্পের পাঁচটি, প্লাস্টিক পণ্যের চারটি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৯টি স্টল থাকবে মেলায়।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আরও বলেন, মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মাঝে এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম তুলে ধরার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের একটি সেক্রেটারিয়েট থাকবে। গণমাধ্যমের সহকর্মীদের কাজের সুবিধার্থে একটি মিডিয়া সেন্টারও থাকবে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।


আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা।

আজ শ‌নিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার ১৯ মে থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।


আজ ঢাকায় আসবেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি

কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় তিন দিনের সফরে জন্য আসছেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন। ঢাকায় কানাডার হাইক‌মিশন এক সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তি‌র মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।

হাইক‌মিশন জানায়, কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল আগামীকাল রোববার (১৯ মে) থে‌কে তিন দিনের জন্য বাংলাদেশ সফ‌রে থাকবেন। পল আজ শ‌নিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসবেন। পল বাংলাদেশ সফরের সময় সরকা‌রি কর্মকর্তা এবং অংশীজনেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ক‌রবেন।

এ সময় ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের মাধ্যমে এই অঞ্চলের প্রতি কানাডার প্রতিশ্রুতি, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্য আনার উপায় চিহ্নিত করা, দ্বিমুখী বি‌নি‌য়োগে উৎসাহিত করার জন্য কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায়; তা নিয়ে আলোচনা করবেন।


ডলারের দামের সঙ্গে বাজারে বাড়ল মসলার দাম

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার পরপরই রাজধানীর বেশিরভাগ বাজারে আমদানিকৃত মসলার পাইকারি দাম প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে গেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কচুক্ষেত ও পুরান ঢাকার কিছু পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে আমদানি করা বেশিরভাগ মসলার দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে।

প্রতি কেজি জিরার দাম ৫৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮০ টাকা, এলাচের সর্বনিম্ন দাম ২৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২০০ টাকা করা হয়েছে। আরেক ধরনের এলাচের দাম আগে ৩২০০ টাকা ছিল এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ টাকায়।

এ ছাড়া গোল মরিচের (কালো) দাম ১০০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০০ টাকা, কাজুবাদাম ১২০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোলা ১০২ টাকা থেকে বেড়ে ১০৮ টাকা কেজি করা হয়েছে।

আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের দাবি, হঠাৎ ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়ছে।

গত ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিনিময় হার ১১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করে।

সম্প্রতি দাম বেড়ে যাওয়ার হতাশা প্রকাশ করে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি আদা ৫৭০-৫৮০ টাকায় কিনতাম। কিন্তু এখন ৭০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। অথচ ডলারের দাম বাড়ার আগেই এই মসলা আমদানি করা হয়েছে। এটা সিন্ডিকেটের কাজ।’

মৌলভীবাজার পাইকারি বাজারের মসলার এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, ‘এসব মসলার কেনা দাম একই হলেও কিছু আমদানিকারক ডলারের বাড়তি দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে দাম বাড়াতে বলেছেন।’

কারওয়ান বাজারে এক দোকান মালিক বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বর্তমানে পাইকারি বাজারে সীমাবদ্ধ। তবে খুব শিগগির এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়বে। বিশেষ করে ঈদুল আজহার আগে দাম বেড়ে যাবে।’

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু ডলারের দাম কমলে তারা কি দাম কমায়?’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ায় জিনিসপত্রের দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন দাম বেশি না বাড়ায়।’


বাজারে চড়া মাছ-সবজির দাম, ক্রেতাদের ক্ষোভ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৭ মে, ২০২৪ ১৯:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে এখনো চড়া মাছের দাম। অধিকাংশ মাছের দাম তেমন একটা কমেনি। আগের মতোই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বিক্রেতাদের দাবি, গরমের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে, বাজারে নিত্যপণ্যের দামের বিষয়ে বরাবরের মতোই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ মাছ। এর মধ্যে রুই ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতলা ৩২০ টাকা, কালবাউশ ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাবদা ৫৪০ টাকা ও ইলিশ মাছ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজারও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। বাজারে প্রতি পিস ফুলকপির দাম ৬০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধা কপির দাম ৬০ টাকা ও প্রতি পিস লাউয়ের দাম ৪০ টাকা। এ ছাড়া, প্রতি কেজি গাজর ৭০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা ও পটল ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী বলেন, ‘সরবরাহ কমে যাওয়ার জিনিসপত্রের দাম একটু বাড়তি। গরম কমলে সামনে দাম কিছুটা কমতে পারে।’

সবজির এমন দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। একজন চাকরিজীবী বলেন, ‘আমাদের স্বল্প বেতনে প্রতিদিন মাছ বা মাংস খাওয়া যায় না। কিন্তু সবজির দামও যদি এমন বাড়তি যায়, তাহলে এটা খাওয়াও কমিয়ে দিতে হবে।’

বাজারে মুরগির মাংসের দামও আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়, লেয়ার ৩৪০ টাকায় ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৯০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।

বিষয়:

সোনার অলংকার কিনতে ক্রেতাকে ৬ শতাংশ হারে মজুরি দিতে হবে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বাজারে সোনার দামে অস্থিরতার মধ্যেই নতুন সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। তারা এবার সোনার অলংকারে ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি নির্ধারণ করেছে। একই সঙ্গে সোনার অলংকার পরিবর্তনে ১০ শতাংশ এবং ক্রেতার কাছ থেকে অলংকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বাদ দেওয়ার নিয়ম করেছে বাজুস।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় বাজুস। এতে বলা হয়, সম্প্রতি জুয়েলার্স সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সোনার অলংকার বিক্রির সময় ক্রেতার কাছ থেকে ৬ শতাংশ হারে মজুরি নিতে পরামর্শ দিয়েছে সমিতি। এর পেছনে সমিতির ব্যাখ্যা হচ্ছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সোনার অলংকার বিক্রিতে ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। সোনার অলংকার বিক্রিতে ভারতে ১০, শ্রীলঙ্কায় ৮, চীনে ১৫, ইতালিতে ২০, হংকংয়ে ৩০, মালয়েশিয়ায় ৩৫, অস্ট্রেলিয়ায় ২০, যুক্তরাষ্ট্রে ৬ ও যুক্তরাজ্যে ১৪ শতাংশ মজুরি নেওয়া হয়।

বাজুস ২০২২ সালের আগস্টে প্রতি গ্রামে কমপক্ষে ৩০০ টাকা মজুরি নিতে সদস্যপ্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ দেয়। তাতে প্রতি ভরিতে মজুরি দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫০০ টাকা। তবে অধিকাংশ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের ধরে রাখতে মজুরিতে ছাড় দিয়ে আসছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জুয়েলার্স সমিতির একজন সদস্য বলেন, ধরা যাক, বর্তমানে এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ টাকা। তাহলে ৬ হাজার টাকা মজুরি দিতে হবে। আর সোনা ও মজুরির ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। নতুন করে মজুরি পুনর্নির্ধারণের ফলে ব্যবসায়ে নতুন করে অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সোনার অলংকার পরিবর্তন বা বিক্রির ক্ষেত্রে জুয়েলার্স সমিতির নিদের্শনা হলো, পুরোনো অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে এর ওজন থেকে ১৫ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে, যা এত দিন ছিল ১৩ শতাংশ। এ ছাড়া সোনার অলংকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অলংকারের ওজন থেকে ১০ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এত দিন এই হার ছিল ৯ শতাংশ।

কয়েক মাস ধরেই দেশের বাজারে সোনার দামে অস্থিরতা চলছে। সর্বশেষ গত রোববার সোনার দাম ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৩২ টাকা বেড়েছে। তাতে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা।


মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনে রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৬ মে, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের মার্চে মোবাইল ব্যাংকিং বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) মাধ্যমে রেকর্ড ১.৪৮ লাখ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, দেশে এমএফএস চালু হওয়ার পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ মাসিক লেনদেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে- মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার সম্প্রসারণ, রমজান ও ঈদের কেনাকাটার মৌসুমে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে টাকা পাঠানোর কারণে মোবাইলে ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে ১৮,১৯৫ কোটি টাকা বেশি বা ১৪ শতাংশ বেশি লেনদেন হয়েছে এই মাধ্যমে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, এর আগে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ২০২৩ সালের জুনে। সেই সময়ে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১.৩২ লাখ কোটি টাকা। এ ছাড়া এমএফএসের মাধ্যমে সর্বপ্রথম ১ লাখ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ২০২২ সালের এপ্রিলে, সে সময়ে লেনদেন হয়েছে ১.০৭ লাখ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে- দেশে বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে ১৩টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।

খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শহর কিংবা গ্রামে– এক মুহূর্তে দেশের যেকোনো স্থানে টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। দিন দিন গ্রাহক সংখ্যা যেমন বাড়ছে, লেনদেনের পরিমাণও তেমনি বাড়ছে।

২০২৪ সালের মার্চ শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ২২ কোটি ৪০ লাখের বেশি। এর মধ্যে শহরে গ্রাহক আছে ৯ কোটি ৭৭ লাখ। এ ছাড়া গ্রামে রয়েছে ১২ কোটি ৬২ লাখ। এসব অ্যাকাউন্টের মধ্যে পুরুষ ১৩ কোটি এবং নারী গ্রাহক ৯ কোটি।

এ বিষয়ে বিকাশের করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, মার্চে ক্যাশ আউট, ক্যাশ ইন, মার্চেন্ট পেমেন্ট, স্যালারি ডিসবার্সমেন্ট পূর্বের সকল সময়ের তুলনায় বেশি হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে রোজা ও ঈদ। সাধারণত, আমাদের স্বজনরা অন্য সময় না পাঠালেও ঈদের সময়ে কিছু কিছু পরিমাণে খরচ মেটানোর জন্য টাকা পাঠিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, এই সময়ে অনেক গার্মেন্টস মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্যালারি পাঠিয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে কেনাকাটায় ব্যাপক লেনদেন হয়েছে।

সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশেষ করে সরকারি সব ধরনের ভাতা, উপবৃত্তি ও প্রণোদনা বিতরণে মোবাইল আর্থিক সেবা খাত ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এ খাতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়েছে, যোগ করেন তিনি।

নগদের একজন কর্মকর্তা বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে নগদের সেবা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। আমরা গ্রাহকদের চাহিদার আলোকে নতুন নতুন সেবা চালু করছি। এ ছাড়া মানুষজন এখন ব্যাংকে গিয়ে লাইনে না দাঁড়িয়ে সহজেই এমএফএসের মাধ্যমে তাদের প্রিয়জনদের টাকা পাঠিয়ে দিতে পারছেন। আমরা মনে করি, সামনের সময়ে এটি আরও জনপ্রিয় হবে।

প্রিলে প্রায় প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মতো লেনদেন হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ডিজিটাল কেনাকাটায় গ্রাহকদের বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়েছিল, ফলে লেনদেনের পরিমাণ আরও বেড়েছে, যোগ করেন তিনি।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্যদিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়।

এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সিংহভাগই বিকাশের দখলে। এরপরে রয়েছে নগদ।


১১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

২০২৪-২০২৭ অর্থবছরের নীতিমালার খসড়া নীতিগত অনুমোদন
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রপ্তানি নীতিমালা ২০২৪-২৭-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। একই সঙ্গে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি বা স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। করোনায় আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, টিসিবির মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬-এর ৬৮(১) ধারার আওতায় এবং একই আইনের ৩২ ধারায় উল্লেখ করা ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণে পণ্যসামগ্রী সংগ্রহের মেয়াদ চলতি বছরের ২৬ মে শেষ হয়ে যাবে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ বিষয়ে সচিব জানান, রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এটি পরে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঠানো হবে।

রপ্তানি নীতির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তিনি জানান, স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়া, রপ্তানি খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক কৌশল- এসব বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করার জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিকল্প পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২০২৭ মেয়াদে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রপ্তানি প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করা বিভিন্ন ধাপ এখানে (রপ্তানি নীতি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া খাতের সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য ও সেবা যেমন- সবজি এবং হস্ত ও কারু পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতে স্পিনিং, ফেব্রিক্স, ম্যানুফ্যাকচারিং, ডাইং, প্রিন্টিং অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ওষুধশিল্প ও মেডিকেল ইকুইপমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্ষ পণ্য হস্তশিল্পকে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সচিব বলেন, রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকা এবং শর্তসাপেক্ষে রপ্তানি পণ্য তালিকা হালনাগাদ ও এইচএস কোডের হেডিংসহ উল্লেখ করা হয়েছে। রপ্তানি-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কমিটি ও রপ্তানি-সংক্রান্ত কারিগরি কমিটি গঠন ও কার্যপরিধি সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, রপ্তানি খাতের চাহিদা এবং বিশ্ববাণিজ্য পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্য নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রতি তিন বছর অন্তর রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করা হয়। বিদ্যমান রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪-এর মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। এই ধারাবাহিকতায় রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।


সাড়ে ৫ মাস পর হিলি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হিলি প্রতিনিধি

অবশেষে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ভারতীয় একটি ট্রাকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় একটি ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসে। হিলি স্থলবন্দরের মেসার্স আরএসবি ট্রেডার্স এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক মেসার্স আরএসবি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আহমেদ সরকার বলেন, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা গত ৪ মে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়; কিন্তু এরপরও ৪০ শতাংশ শুল্ক থাকায় পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে আমদানিকারকরা চিন্তিত ছিলেন। তবে নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে ১১ দিন পর মঙ্গলবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এসব পেঁয়াজ প্রতি মেট্রিক টন ৫৫০ ডলারে আমদানি করা হয়েছে। যদি আমদানি স্বাভাবিক থাকে তাহলে পেঁয়াজের দাম কোরবানি ঈদে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।


banner close